বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাহুবল (হবিগঞ্জ) : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে থাকা ডিভাইডারে কোন সতর্কতার চিহৃ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। লাল দাগ না থাকায় অন্ধকারে ডিভাইডারটি দেখতে না পেরে রাতের বেলায় দুরপাল্লার গাড়িগুলো মারাত্মক দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। গত এক বছরে এখানে অন্তত শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে এই ডিভাইডার দেওয়া হলেও এটি এখন মরণফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শায়েস্তাগঞ্জগামী একটি প্রাইভেটকার ডিভাইডারের ওপরে ওঠে গেলে প্রচন্ড ঝাকুনিতে গাড়ির দরজা খুলে এক যাত্রী পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। এবং গাড়িটিরও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেট শাহজালাল মাজারে যাওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহি বাস ডিভাইডারের ওপর ওঠে পড়ে। এতে আহত হন বাসে থাকা নারী ও শিশুরা। এ রকম এখানে বিগত এক বছরে মোটরসাইকেলসহ শতাধিক যানবাহন দুর্ঘটনা কবলে পড়েছে।
ডিভাইডারের পাশে অবস্থিত রুকুন উদ্দিন নামে এক ফার্নিচার দোকান মালিক বলেন, কিছুদিন পরপরই রাতের বেলায় দুরপাল্লার বাস-ট্রাক ডিভাইডরের ওপর ওঠে বিকট শব্দ হয়। এই শব্দে ঘুম থেকে জেগে দেখি গাড়ি পড়ে আছে। যতটুকু পারি সাধ্যমত চেষ্টা করি দুর্ঘটনাকবলিত মানুষের সহযোগিতা করার। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ যাত্রী ও চালকরা এখানে ভোগান্তির স্বীকার হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কেন এ ব্যপারে কোন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বুঝে ওঠতে পারছিনা।
আরব আলী নামে স্থানীয় এক পিকআপভ্যান চালক বলেন, এই ডিভাইডারে কোন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে কপাল খুলে হাইওয়ে পুলিশের। রেকার দিয়ে টানানো ও জরিমানা দিতে হয় তাদের। তাদের যে দোষ তারা দেখেননা, তারা বলেন সেটা সওজ দেখবে। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, এখানে যদি কোন বড় কর্তাব্যক্তির গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে মনে হয় সতর্কতা চিহ্নসহ সকল ব্যবস্থা হবে।
জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমেদ বলেন, সাইন সিগন্যাল তৈরির কাজ চলছে, দ্রুতই আমরা এখানে রঙ্গিন সিগনাল বোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করব।